দিঘলিয়া উপজেলার অন্তর্গত খানজাহান আলী থানাধীন যোগীপোল ইউনিয়ন পরিষদে যাতায়াতকারী গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন এবং সাধারণ মানুষ যাতায়াত করে থাকে। সংস্কার না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। সড়কটি সংস্কারের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চাহিদাপত্র দিয়েও কোন লাভ হয়নি।
সড়কটির অধিকাংশ জায়গা ভেঙ্গে অসংখ্য গর্ত তৈরি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় সড়কটি। সড়কের পাশে যে ড্রেন রয়েছে সেটি সময়মতো পরিষ্কার না করার কারণে সামান্য বৃষ্টিতে ড্রেনও তলিয়ে যায়। এ অবস্থায় চরম বিপাকে পড়েছে সড়কটি দিয়ে যাতায়াতকারী স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, বয়োবৃদ্ধ নারী-পুরুষ, গর্ভবতী মহিলাসহ যানবাহনের চালকেরা।
এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, “দীর্ঘদিন এ রাস্তার কোনো সংস্কার কাজ হয়নি। সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তায় পানি জমে থাকে। রাস্তার পাশের ড্রেন দিয়ে পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। এ কারণে অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তায় অধিক পানি জমে যায়। এ নিয়ে চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসী।
তিনি বলেন, ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বর্তমানে নেই, আর যারা আছে তারাও দায়িত্বশীল না। ড্রেনের ময়লাগুলো দীর্ঘদিন পরিস্কার করা হয় না। রাস্তাটি যাতে দ্রুত সংস্কার হয় এ ব্যাপারে আমরা এলাকাবাসী যথাযথ কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছি”।
স্থানীয় বাসিন্দা ও রাজমিস্ত্রি মেহেদী হাসান বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে যোগীপোল ইউনিয়নের প্রধান এ রাস্তাটি সংস্কার করা হয় না। রাস্তার পিচ উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তার উপর পানি জমে থাকে। ভ্যান, ইজিবাইক চালকসহ এলাকাবাসীর যাতায়াতে মারাত্মক অসুবিধা হচ্ছে। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি সড়কটি দ্রুত সংস্কার করার জন্য”।
যোগীপোল ইউপি সদস্য সদস্য জি এম এনামুল কবির বলেন, “রাস্তাটি সংস্কারের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অনেক আগেই চাহিদা পত্র দেওয়া আছে। এটা বাস্তবায়ন করার এখতিয়ার হচ্ছে স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের।স্থানীয় সরকারের যে প্রকৌশল দপ্তর আছে এ রাস্তাগুলো তারাই বাস্তবায়ন করে।
তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট এবং কর্মপরিধির মধ্যে একটা সীমাবদ্ধতা আছে। পিচের যে বড় বড় রাস্তাগুলো হয়, এগুলো ইউনিয়ন পরিষদের বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না। যোগীপোল ইউনিয়নের এ প্রধান সড়কের ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে অনেক আগেই চাহিদা পত্র দেওয়া আছে”।
এলাকার সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য সাহারা জলি খানম বলেন, যেহেতু আমরা জনপ্রতিনিধি সেহেতু এলাকার মানুষ আমাদের কাছে অভিযোগ করে থাকে। আমরাও চাই রাস্তাটির সংস্কার কাজ দ্রুত শুরু হোক।
ইউপি সচিব আসমা খাতুন বলেন, “রাস্তার ব্যাপারে দ্রুত স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ব্যবস্থা নেবে এবং ড্রেন পরিষ্কারের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। আসন্ন ঈদুল আযহার আগে কাজ করা হবে”।
দিঘলিয়া উপজেলা প্রকৌশলী আবু তারেক সাইফুল কামাল বলেন, এ অর্থবছরে পর্যাপ্ত বাজেট নেই। আগামী অর্থবছরের শুরুতে অর্থাৎ জুলাই মাসে যোগীপোল ইউনিয়নের প্রধান এ সড়কের সংস্কার কাজের জন্য বাজেট উপস্থাপন করা হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম